ইসলামি অর্থনীতির পরিধি ও বিষয়বস্তুঃ ইসলামি অর্থনীতির সাথে সম্পূক্ত বিষয়গুলাে হলো ধর্ম, নৈতিকতা, মানবতা, সহমর্মিতা, সহযােগিতা ও পারস্পরিক কল্যাণ কামনা। এ বিষয়গুলো ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে মহিমামণ্ডিত করেছে। ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিষয়বস্তুর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ও সমষ্টিগত উপার্জন, ব্যয়, বিনিয়োগ, ভােগ, বণ্টন, অর্থ লেনদেন, শ্রম, মূলধন, উৎপাদন, সংগঠন, ভূমি, রাজস্ব কর, ঋণদান, যাকাত, সাদকাহ, উশর, খারাজ, জিজিয়া, ব্যবস্থাপনা, ঐচ্ছিক দান, ওয়াকফ জতীয় যা কিছু জীবনযাপনের সাথে সম্পূক্ত তার সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত। এসব বিষয়ক কেন্দ্র করে ইসলামি অর্থনীতি যেগুলাকে তার পরিধির অন্তর্ভুক্ত করে, তা হলোঃ
১| অর্থনৈতিক সমস্যা ও সমাধানঃ ইসলামি অর্থনীতি মানুষের অর্থনৈতিক সমস্যা ও সমাধান সম্পর্ক আলােচনা করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সাথে মানুষের যে সম্পৃক্ততা রয়েছে ইসলামি অর্থনীতি তা এড়িয়ে যেতে পারে না।
২| অর্থনৈতিক আচরণঃ ইসলামি অর্থনীতি ইসলামি শরিয়তের আলোকে মানুষের আর্থনৈতিক আচরণ সম্পর্কে আলােকপাত করে। মানুষের আচরণের মধ্যে যেগুলো অর্থ-সম্পদের সাথে সম্পৃক্ত সেগুলােই এর পরিধির অন্তর্ভুক্ত।
৩| অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডঃ ইসলামি অর্থনীতি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সমাজ-সভ্যতা ও মানবিক যােগ্যতা-প্রতিভা ইত্যাদি সবদিকে তার আলােচ্য বিষয় ও পরিধির অন্তর্ভুক্ত করে।
8| উৎপাদন-উপার্জন পরিচালনার পদ্ধতিঃ ইসলামি অর্থনীতি উৎপাদন, উপার্জন, ব্যয় ও বণ্টন সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মতৎপরতা পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে আলােচনা করে।
৫| সীমিত সম্পদ দ্বারা মানবকল্যাণের উপায়ঃ মানুষের সীমিত সম্পদ দ্বারা অসীম অভাবের মােকাবিলা করে কিভাবে নবকল্যাণ সাধন করা যায় ইসলামি অর্থনীতি তার উপায় সম্পর্কে আলোকপাত করে।
৬| নৈতিকতা ও মানদন্ডঃ অর্থনৈতিক লেনদেন, চুক্তি, বিনিময় ইত্যাদি ক্ষেত্রে নৈতিকতা ও তার মানদন্ডের কি হবে ইসলামি নীতি সে বিষয়টিকে তার পরিধির অন্তর্ভূক্ত করে।
৭| সুষম বণ্টনঃ সামাজিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য ইসলামি অর্থনীতি সবসময় সুষম বণ্টনের কথা বলে। এ কারণে সমাজ গনীতি সে বিষয়টিকে তার পরিধির অন্তর্ভুক্ত করে। এ কারণে গবেষণা এবং পারিবেশগত শােষণ বা পারিবারিক অসম ব্যবস্থা নিয়েও ইসলামি অর্থনীতিকে আলোচনা করতে হয়।